সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে চলছে তীব্র আন্দোলন, দুই সদস্যের কমিটি গঠন

 


অনলাইন ডেস্কঃ   সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে রাজধানীতে বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা ও পরিবর্তনের সুপারিশ করতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।  সোমবার ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একজন সিনিয়র সচিব দায়িত্ব পালন করবেন  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান বয়সসীমা এবং সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।  

এর আগে সকালে রাজধানীর রমনা পার্কে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া কয়েকশ চাকরিপ্রার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।  সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে একদল তরুণ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যমুনার গেটের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের পথ রোধ করে। 

এসময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কর্মকর্তারা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।  সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কিত অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে অনেকে বলেছেন বিভিন্ন কারণে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষায় বিলম্বের কারণে সরকারি চাকরির ৩০ বছর বয়সসীমা খুব প্রাসঙ্গিক।

নবীনতর পূর্বতন