অনলাইন ডেস্ক: জেলায় অতিবৃষ্টি ও
উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের পর আজ রোববার সকাল থেকে
কমতে শুরু করেছে। রোববার সকাল ছয়টা থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে
পানি কমতে শুরু করলে বেলা তিনটা পর্যন্ত ১০ সেণ্টিমিটার কমে বিপদসীমার আট
সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় ওই পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমা
অতিক্রম করে দুই সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। রোববার সকাল ছয়টা
থেকে কমতে শুরু করলে বেলা তিনটা পর্যন্ত ১০ সেণ্টিমিটার পানি কমে। এতে করে
তিস্তাপাড়ে সৃষ্ট বন্যা পরিস্তিতির উন্নতি হয়েছে।
ডালিয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় অতিবৃষ্টি ও
উজানের ঢলে শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে দুই সেণ্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এরপর আজ রোববার সকাল নয়টায় কিছুটা কমে এক
সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় আরও কমে বিপদসীমার তিন
সেণ্টিমিটার এবং বেলা তিনটায় আট সেণ্টিমিটার নিচে নামে। এর আগে গতকাল
শনিবার সেখানে সন্ধ্যা ছয়টায় বিপদসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত
হয়েছিল।
নীলফামারীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান
বলেন, জেলায় মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি
শনিবার দিবাগত রাতে বিপদসীমা অতিক্রম করে। আজ রোববার সকাল থেকে কমতে শুরু
করলে বেলা তিনটায় বিপদসীমার আট সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাটের সবকটি খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি
উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এরআগে, শনিবার সকাল নয়টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হয়ে বেলা ১২টায় ১০ সেণ্টিমিটার বেড়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত
বিপৎসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই,
পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি,
গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিম্নাচঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। এসব গ্রামের
পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ বন্যকবলিত হয়ে পড়েছে।
জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ
খান জানান, শনিবার দিবাগত রোববার রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায়
ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের একহাজার দুইশ’ পরিবার
বন্যাকবলিত হয়।এসব পরিবারের অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যায়। পানির নিচে তলিয়ে
গেছে নিম্নাঞ্চলের আমন ক্ষেত। আজ রোববার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করায়
মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।